সভাপতি কর্নার

মোহাম্মদ আবদুল মাননান

সভাপতি,সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

চেয়ারম্যান,গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

দেশের অন্যতম ও সুপরিচিত এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে এবং বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি তিন যুগ পার করেছে। এই দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠান ক্রমাগতভাবে গৌরবময় ইতিহাস রচনা করে আসছে এবং দেশবাসীর দৃষ্টিও আকর্ষণ করেছে। বিভিন্ন জেলার ছেলেমেয়েরাও এখানে এসে সাগ্রহে পড়াশোনা করছে। বর্তমানে স্কুলের বাংলা মাধ্যম, ইংলিশ ভার্সন ও কলেজ শাখা মিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে এখানে।

যুগোপযোগী ও আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। প্রায় প্রতিবছরই এসএসসি ও এইচএসসিতে শতভাগ উত্তীর্ণ হচ্ছে ও জিপিএ ৫-ও অর্জনের সংখ্যাও ঈর্ষণীয়। ২০২৪ সালের এসএসসিতে ৯৯.৭৬% পাশসহ ৮৪৩টি A+ ও এইচএসসিতে ৯৯.৯১% পাশসহ ৮১২ A+ অর্জিত হয়েছে। কেবল শ্রেণিকক্ষনির্ভর নিয়মিত পাঠচর্চাতেই প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিভঙ্গি সীমাবদ্ধ নয়, বরং একটি সম্মানজনক লক্ষ্যের দিকে শিক্ষার্থীদের ধাবিত করতে প্রতিষ্ঠান নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে – বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রতিষ্ঠানটি এ-লক্ষ্যে সফলও হচ্ছে। দেশের সেরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী ভর্তির সৌভাগ্য লাভ করছে। ইতোমধ্যে এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে সফলতার সঙ্গে অধ্যয়ন করে চলেছেন; এমনকি, ২০২২ সালের এসএসসি উত্তীর্ণ এস.এম.এ নাহিয়ান ফুল ফ্রি স্টুডেন্টশীপ পেয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ হতে Massachusetts Institute of Technology (MIT) তে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানকে গৌরবান্বিত করেছে। সাবেক শিক্ষার্থীদের অনেকেই বিসিএস সম্পন্ন করে সরকারি ডাক্তার হয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকও হয়েছেন। ভবিষ্যতে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের বলয়টা উচ্চশিক্ষার দেশসেরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা করি।

শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবকবৃন্দও অনবদ্য ভূমিকা রাখছেন। মাসিক অভিভাবক সভার মাধ্যমে মতবিনিময় করা হয়, তাঁদের গঠনমূলক পরামর্শ শিক্ষার মানোন্ননে সহায়তা করে। অভিভাবক ও শিক্ষকদের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান বিকশিত হচ্ছে, প্রতিষ্ঠান অর্জন করছে কাঙ্ক্ষিত ফল। শিক্ষার্থীদের জন্য চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে এ প্রতিষ্ঠানে। দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের দ্রুততম ও নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে স্কুল ও কলেজ শাখার ভিন্ন ভিন্ন রাইড রয়েছে, রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন জেনারেটর ব্যবস্থা। নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষা সহযোগী বিনোদন চর্চার সুযোগও এখানে ব্যাপক। স্কাউট গ্রুপ, কম্পিউটার ক্লাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাবসহ প্রতিষ্ঠান অঙ্গনে তেরোটি ক্লাবের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষাও অনুশীলন করে যাচ্ছে। ক্লাবগুলোর উদ্যোগে বার্ষিক শিক্ষা সপ্তাহ ও ক্লাব ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়। এই ফেস্টিভ্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য সুকুমার বৃত্তি চর্চার একটা বড়ো সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে, তারা সৃজনশীলতায় খুব আগ্রহও বোধ করছে। এভাবে প্রতিনিয়ত এগিয়ে চলছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষসহ চৌকস শিক্ষকমণ্ডলী অত্যন্ত বিচক্ষণ ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। অধ্যক্ষের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতার ফসল দুটি ক্যাম্পাসের এই বিশাল ও বিস্তৃত শিক্ষাঙ্গন। প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, অভিনব চিন্তাধারা সত্যিই চিত্তাকর্ষক। তাঁর নেতৃত্বে অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে নিয়ত নিবেদিত; এঁদের সকলের ভূমিকা আমাকে প্রতিনিয়ত দায়িত্বপালনে উৎসাহ যোগাচ্ছে।
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দীর্ঘস্থায়িত্ব ও মঙ্গল কামনা করছি।