প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার লক্ষ্য- উদ্দেশ্য আগের মতো নেই। পড়াশোনার উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীকে কালসচেতন করে তাকে জীবনমুখী করে তোলা। কী করে জীবনকে সমৃদ্ধ করা যায় সেই শিক্ষা দেওয়া। যেকোনো অর্জনের অর্থ জীবনকে সার্থক করে তোলা। সেই চিন্তায় পড়াশোনা হবে বর্তমান ও ভবিষ্যতকে অর্থবহ করে তুলতে। আধুনিক যুগে যে পাঠ জীবনের জন্য অর্থ বহন করে না তা জ্ঞান বলে গণ্য করা হয় না। অতএব জীবনোপযোগী জ্ঞান চাই। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা নিয়ে এমন ভাবনায় দেশ ও সরকার এগিয়ে আসছে যা বাংলাদেশের সবপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সুবার্তা বয়ে আনবে। অতীত দিনে স্কুল কলেজের পাঠসূচি ও পাঠচর্চায় যে গতানুগতিকতা ও সীমাবদ্ধতা ছিলো তাতে পরিবর্তনও আসতে শুরু করেছে।
কেবল নির্ধারিত পাঠসূচিই সব নয়, আদর্শ ও উন্নত মানুষ গড়তে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিও থাকাও জরুরি। নির্দিষ্ট পাঠের পাশাপাশি কোন অভ্যাস- অভিরুচির শিক্ষা শিক্ষার্থীকে সময় ও সমাজের শ্রেষ্ঠ সন্তানে পরিণত করবে প্রতিষ্ঠানে সেই চিন্তা প্রতিফলনের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের একেবারেই নিজস্ব। সেখানে বাইরের কারো হুকুম থাকে না,
বাধাও থাকে না। এজন্যই বিশেষ মর্যাদার প্রতিষ্ঠান বিশেষ মর্যাদার শিক্ষার্থী তৈরি করতে পারে।
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ নির্ধারিত পাঠ্যসূচির মধ্যে থেকেই সময়োপযোগী শিক্ষার্থী গঠনে যত্নশীল। একটি সুপরিকল্পিত শৃঙ্খলায় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুসন্ধানী ও সৃজনশীল আত্মভুবন গড়তে প্রতিষ্ঠানের বিরামহীন চেষ্টা চলছে। চাই তাদের মন বিকশিত হোক, দেশ ও বিশ্ব বৈচিত্র্যে গভীর আকর্ষণ তারা বোধ করুক। জীবনের নানাদিক নিয়ে তাদের অন্তহীণ আগ্রহ জাগ্রত হোক। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের মনের বিকাশের জন্য শিক্ষা বিনোদনের একটি বড় পরিমন্ডল গড়ে তোলা হয়েছে। শ্রেণিপাঠের পাশাপাশি সে পরিমন্ডলে তাদের অনুশীলন চলে নিয়মিত। তারা আনন্দিত, উৎফুল্ল। জীবন তারা নিজের মতো করে উপভোগ করতে শিখুক। বিশ্বের রহস্য অনুধাবনে তারা আবিষ্ট থাকুক। সংসারে বড় কাজ,মানুষকে মানুষ করা। সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ সেই ব্রতে নিবেদিত।
মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা
প্রিন্সিপাল, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ